মঙ্গলবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২২

[বই নোট] চরিত্র গঠনের মৌলিক উপাদান - নঈম সিদ্দিকী

চরিত্র গঠনের মৌলিক উপাদান

নঈম সিদ্দিকী






ভূমিকাঃ
১. শয়তানের তৎপরতাঃ

মানুষের তৎপরতা বৃদ্বির সাথে সাথে শয়তানের তৎপরতা ও বৃদ্বি পায়। শয়তানের চ্যালেঞ্জ “যে মানুষের সামনে, পিছনে, উপরে, নিচে চতর্দিক থেকে আক্রমন করবে”। বর্তমান পুঁজিবাদ ও সমাজবাদ এর বাস্তব চিত্র।


২. স্বার্থপরতাঃ

এলাকার সংক্রামক ব্যাধি হতে দেখে দূরে অবস্থান যেমন স্বার্থপরতা তেমনি বর্তমানে কেউ ঈমান নিয়ে মসজিদের কোনে আশ্রয়, নেয়াটাই স্বার্থপরতার সামিল।
৩. ঈমানের পুঁজিঃ

বাজারে আবর্তনের মধ্যে পুঁজির স্বার্থকতা। সিন্দুকে পড়ে থাকা পুঁজি যেমন কোন মুনাফা বয়ে আনতে পারে না তেমনি চরিত্র রুপ পুঁজি কোন মুনাফা বয়ে আনতে পারে না। কিন্তু জনসমক্ষে খাটানোর মধ্যেই রয়েছে চরিত্রের স্বার্থকতা।

চরিত্র গঠনের মৌলিক উপাদানঃ ৩টি
১. খোদার সাথে যথার্থ সম্পর্কঃ

ক) পূর্ণনিয়মানুবর্তিতার সাথে মৌলিক ইবাদতসমূহ পালন করা

খ) কুরআন, হাদীস সরাসরি অধ্যয়ন করা

গ) নফল নামাজের উপর যথসম্ভব গুরুত্বারোপ

ঘ) সার্বক্ষনিক দোয়া ও যিকির

 

২. সংগঠনের সাথে সম্পর্ক:
কর্মীদের করণীয়ঃ

ক) আদেশ ও আনুগত্যের ভারসাম্য রক্ষা করা।

খ) অন্ধ আনুগত্য পরিহার করা।
গ) ব্যক্তির, রুচি, প্রকৃতি ও প্রবনতার কারনে আনুগত্য কম বেশী করা যাবে না।
ঘ) কতর্ত্বশালীদের সুন্দর আচরন ও মনমেজাজের অধিকারী হতে হবে।
ঙ)কর্তৃত্ব ও আনুগত্যের কতিপয় আরো বিষয়াবলীঃ
= দায়িত্বশীল কর্তৃক কোন সার্কুলার জারী করা হলে তা যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
= কোন প্রোগ্রামের নির্ধারিত পদ্ধতি যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
= দলীয় শৃংখলার আনুগত্যে ক্রটি করলে, মিথ্যা সাক্ষী দিলে, চুরি করলে, কারো অর্থ আত্নসাৎ করলে,গীবত করলে সাথে সাথে অনুতপ্ত হলে আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাইতে হবে।
= সংগঠনকে আল্লাহ ও রাসূলের পক্ষ থেকে ত্রকটি আমানত মনে করে প্রত্যেক সহযোগীকে ব্যক্তিগতভাবে ত্রর রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্ব পালন করতে হবে।

দায়িত্বশীলদের করনীয়ঃ

ক) সংগঠনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে সুন্দর ব্যবহার করতে হবে।

খ) সহযাগীদের দুর্বলতাগুলো মাফ করে দেয়ার, মনকে কলুষিত না করার ও নিরাশ না হওয়ার মানষিকতা থাকতে হবে, বিভিন্ন সময় মাঝে মাঝে সহযাগীদের সাথে পরামর্শ করতে হবে।

৩. সহযোগীদের সাথে সম্পর্কঃ

ক) কোন খবর বা বিবরণ শুনার পর সঙ্গে সঙ্গে সিদ্বান্ত নেয়া ঠিক নয়।
খ) ত্রকে অন্যকেঃ ত্রক দল অন্য দলকে বিদ্রপ করা উচিত নয়।
গ) অন্যের গীবত করা বা কারো সমপর্কে কুধারনা করা মোটেই উচিত নয়।

পরিশেষে, যদি আমরা খোদার সাথে সম্পর্ক কায়েমের যথাযথ ব্যবস্থা করে দলীয় নীতি ও শৃংখলার আনুগত্য করি এবং উলি্লখিত নৈতিক গুনাবলী নিজেদের মধ্যে সৃষ্টি করে কর্মক্ষেত্রে ঝাঁপিয়ে পড়ি তাহলে ইনশাআল্লাহ,আমাদের ব্যর্থতার সামান্যতম সম্ভাবনাও নেই। খোযদি আমাদেরকে স্বয়ংসমপূন্ন হওয়ার তিনটি সুযোগ দেন,তাহলে বিশ্বাস করুন আমরা ব্যবসায়ে যে পুঁজি খাটাচিছ তা কয়েকগুন অধিক মুনাফাদানে সক্ষম হবে।

পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট

0 Comments: